আজ আমি আরেকবার অনুভূতি করলাম ভারতে গরীবী এত বেশি কেন। আমাদের দেশে পর্যাপ্ত প্রতিভা রয়েছে এটা সবারই জানা। কিন্তু তবু আমরা এত পিছিয়ে কেন?
এর অনেকগুলো কারণ রয়েছে। যেমন মূলধন। এরকমই একটা বড় কারণ হল চান্স ।
এবার আপনার মনে হয়তো অনেক ভাবনাই ঘুরপাক খাবে। আপনি হয়তো অনেক প্রমাণ উদাহরণ দিতে পারবেন এই মুহূর্তে, আপনি বলতে পারেন কোথায় সুযোগের অভাব? নিজের passion থাকলে সমস্ত ব্যবস্থাই নিজের থেকে করে নেওয়া যায়।
কিন্তু আপনিও জানেন যেমন এ দুনিয়ায় কোনোকিছু অসম্ভব নয় ঠিক তেমনি অনেককিছু করা সম্ভবও নয়। মানুষ এখনও পাখির মতো কোনো যন্ত্রপাতি ছাড়া স্বেচ্ছায় আকাশে উড়তেও পারেনি, আকাশের সীমানা মাপতেও পারেনি। আমরা শুধু কল্পনাই করে চলেছি যে বিজ্ঞানের দ্বারা একদিন কেউ ঐ মহান রহস্য উদঘাটন করতে পারবে। কিন্তু আমরাও জানি মানুষ বিজ্ঞানের সাহায্য নিয়েও অনেক ভূল করেছে।
যাকগে, আমার আলোচ্য বিষয় সেটা নয়। মানুষ পাখির মতো হতে পারেনি কেননা মানুষের ওরকম সুন্দর পাখনা নেই। তাই মানুষ বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সাহায্য নিয়েছে। কিন্তু একবার ভাবুন যন্ত্রপাতি ছাড়া মানুষ পারতো কোনো কাজ? আপনিও জানেন আমিও জানি উত্তরটা- 'না'। হাজারো বুদ্ধি থাকলেও কোনো যন্ত্রপাতির সাহায্য ছাড়া মানুষ কিছুই করতে পারতো না।
তাহলে এবার বলুন যন্ত্রপাতির খরচ দেওয়ার ক্ষমতা ফুটপাতের উপর বসে থাকা ছেলেটার আছে? ও তো একখানা অভাগা! ওর কী করে থাকবে? ও তো ওখানে জন্মিয়েছে ওর ভাগ্যে ওটা ছিল বলে! কে জানে আগের জন্মে কী খতরনাক খারাপ কাজ করেছিল!(আগের জন্ম বলে কিছু থাকলে তবে!)
ওর কোনো ভালো ট্যালেন্ট থাকলেও কেউ দেখবে না।কেউ দেখলেও নিজের মানিব্যাগটা খুলে একটাকা কিংবা দুটাকার অচল কয়েন ছিটিয়ে দিয়ে যাবে। কেউ হয়তো দশটাকার নোটও দেবে, আবার কেউ নিজের অহংকারের স্মার্টফোনটা নিয়ে ওর কয়েকটা ছবি তুলে স্যোশাল মিডিয়ায় পোষ্ট করে নিজের অ্যাকাউন্টের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর চেষ্টা করবে। ব্যস্, এটুকুতেই তাদের কাজ কমপ্লিট! ছেলেটাকে ঠিকমতো গাইড করে ওকে ওর কেরিয়ারের দিকে পৌঁছে দেওয়া তো অনেক দূরের ব্যাপার। এরকম ছেলে/মেয়েরা বড় হয়ে হয় রাস্তা দিয়ে ঘুরে বেড়ানো *****দের মতো কেউ হয়, নাহলে সমাজের কোনো দুনম্বরী কাজকর্মে যুক্ত থাকে। তারপর কেউ যদি ধরা পড়ে লক্-আপে যায়, পেপারে ছেলেটির সৎকর্ম ছাপা হয়, তখন সেই ফুটপাতের রাস্তায় দশটাকা ছুঁড়ে দেওয়া লোকটা সেই খবরটা পড়ে মনে মনে নিজেকে ধিক্কার দিতে থাকে- অ্যাঁ! কাকে টাকা দিয়ে 'সাহায্য' করে 'বড় করলাম'!
আমার এতসব লেখার পেছনে কারণ ছিল। একটা অনাথ ছেলে তার নিজস্ব লেখা গল্পের বই ছাপানোর জন্য কোনো প্রকাশক খুঁজে পাচ্ছে না। অনেকদিন ধরেই বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করছে। কিন্তু গোটা বাংলায় কোনো পয়সা না নিয়ে বই প্রকাশ করবে এমন কেউ কোথাও নেই! অথচ বিদেশে তাদের ভাষায় কোনো বই ফ্রিতে প্রকাশ করার কত সুবিধা!
ছেলেটির বাড়ির পরিবেশ খুবই খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাই পরিবারকে বাঁচানোর জন্য সে নিজের ট্যালেন্ট ব্যবহার করে কিছু অর্জন করতে চাইছে।
আশা করছি বুঝতে পারছেন। কারুর কিছু জানা থাকলে অবশ্যই advice দিন।
আজকে আপাতত এই পর্যন্ত।
শুভ রাত্রি।
(ওর লেখা গল্পটা সত্যিই খুব সুন্দর। আপনারা কেউ যদি চান তাহলে অবশ্যই আমি গল্পটা এই ব্লগে সিরিয়াল করে প্রকাশ করতে পারি। যদি চান অবশ্যই comment করবেন।)
No comments:
Post a Comment